সর্বশেষ :
সাতকানিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন নুরুল আবছার চৌধুরী
নিজস্ব প্রতিবেদক
- আপডেট সময় : ১১:১১:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৪ ৭৯ বার পড়া হয়েছে
আসন্ন সাতকানিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সৎ, নির্লোভ, নিরহংকার ও স্বচ্ছ রাজনীতিবিদ নুরুল আবছার চৌধুরী চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে যাচ্ছেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্সসহ মাস্টার্স করেছেন ।
তিনি ১৯৮২ সালে দেশ ও মানুষের সেবার ব্রত নিয়ে ছাত্ররাজনীতি শুরু করেন। সাতকানিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক,চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ও সাতকানিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, উপজেলা সমাজকল্যাণ ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি।
স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক ছিলেন। বর্তমানে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন। দীর্ঘ রাজনীতির জীবনে তিনি পদ পদবী ব্যবহার করে কোনো অনৈতিক সুবিধা ভোগ করেননি।
এছাড়াও কোনো নিরীহ মানুষকে হয়রানি করেননি বলে জনশ্রুতি রয়েছে। সাতকানিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি থাকালীন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সাতকানিয়ায় ১৯৮৯ সালের ২৩ মার্চ হরতাল-মিছিল থেকে গ্রেপ্তার হয়ে পাঁচ মাস সতের দিন কারাভোগ করেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম শহরে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে যাদের নাম লোকমুখে শুনা যায় তাদের মধ্যে তিনি উল্লেখযোগ্য। মানুষের সমস্যা তুলে ধরে উন্নয়ন কর্মকান্ড ত্বরান্বিত করতে ২০১২ সাল থেকে চাটগাঁর সংবাদ পত্রিকা প্রকাশ করে আসছে। যা বর্তমানে অনলাইন এবং মাল্টিমিডিয়াতেও সুনাম অর্জন করেছে। ২০১৪ সালের ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত সাতকানিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে দ্বিতীয় হন ।
সাতকানিয়া আদর্শ মহিলা কলেজে সভাপতি হয়ে কলেজকে ডিগ্রিতে উন্নীতকরণ, মির্জাখীল উচ্চ বিদ্যালয়কে কলেজে উন্নীতকরণ,গারাংগিয়া-সোনাকানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের স্থাপন ও পাঠদান অনুমতি আদায় করেন।যার কারণে কলেজের শিক্ষার্থীরা তাঁকে শিক্ষার ফেরিওয়ালা আখ্যায়িত করেছেন। ব্রীজ, কালভার্ট, রাস্তা ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণের অবদান এলাকাবাসী অকপটে স্বীকার করেন। ২০০৯ সালে ৩ এপ্রিল থানার ওসি এবং সার্কেল এসপি’র সহযোগিতায় ডাকাতি প্রতিরোধে সমাবেশ করে ৯ এপ্রিল তিনজন ডাকাত গণপিটুনিতে মারা যাওয়ার পর থেকে এলাকা অনেকাংশে ডাকাতমুক্ত হয়েছে।কিছু অসাধু দুষ্টূচক্র বিভিন্ন সময় নিরহ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও অনৈতিক অর্থ আদায় করতে চাইলে তিনি তা প্রতিরোধ করে নিরীহ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন।
আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে, সন্ত্রাস-মাদকমুক্ত সমাজ গঠন, বাল্য বিবাহ রোধ, দুস্থ মেয়ের বিবাহ, নারী শিক্ষার অগ্রগতি ও নারীর ক্ষমতায়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন। বিভিন্ন সময় পরিবেশ রক্ষার্থে গাছের চারা, শীতার্তদের শীত বস্ত্র, বন্যার্তদের ত্রাণ, অসহায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ, ফ্রি হেলথ ক্যাম্প সহ নানামুখী উদ্যোগের মাধ্যমে আর্তমানবতার সেবায় নিয়োজিত রাখেন। ২০০৮ সালে পরিবেশ-সামাজিক বনায়ন, ২০১০ সালে সমাজসেবায় শ্রেষ্ঠ সমাজ সেবক, ২০১৩ সালে উপজেলায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষানুরাগী হিসেবে পুরষ্কৃত হন। সাতকানিয়াকে সুপরিকল্পিতভাবে উন্নত ,সমৃদ্ধ ও স্মার্ট উপজেলায় রূপান্তর করতে তার মত একজন পরিচ্ছন্ন উপজেলা চেয়ারম্যান অপরিহার্য বলে মনে করছেন জনসাধারণ ।