ঢাকা ১০:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo বিজয়া দশমীতে বাংলাদেশ তথ্য ও মানবাধিকার ফাউন্ডেশন কর্তৃক সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য শুভেচ্ছা বার্তা Logo এবারের দুর্গাপূজায় প্রায় দ্বিগুণ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo আসল মাস্টারমাইন্ড জয় হলে আশ্চর্যের কিছুই থাকবে না’ Logo গ্লোরিয়াসের বার্ষিক ক্রিড়া পুরস্কার ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত Logo নবনির্বাচিত চাঁদগাও থানা শ্রমিক দলের ৫১সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন। Logo মাদক সরবরাহকালে ০৯ বোতল ফেন্সিডিল সহ ০১ জন গ্রেফতার। Logo আশার আলো মানবিক ফাউন্ডেশনের অনুষ্ঠান সম্পন্ন। Logo এলপি গ্যাসের দাম বৃদ্ধি নিয়ে যা বললেন উপদেষ্টা Logo নোয়াখালীতে বন্যয় ক্ষতিগ্রস্হদের পুনর্বাসনে এম.টি হক ফাউন্ডেশন নগদ অর্থ বিতরণ Logo চন্দনাইশে ডা. শাহাদাতকে মেয়র ঘোষণা করায় শোকরানা সভা ও খাবার বিতরণ

মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধে দাবিতে মানববন্ধন 

চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৭:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৭৯ বার পড়া হয়েছে

 

চট্টগ্রামে আজ একজোট হয়ে স্থানীয় বাসিন্দা, পরিবেশকর্মী এবং কমিউনিটির সদস্যরা মাতারবাড়ি, কক্সবাজারে নতুন কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র (ঢাকা ৬৩৫ মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র, OPDL-2) বাতিলের দাবিতে একটি প্রতিবাদ কর্মসূচীতে অংশ নেন। এ কর্মসূচির আয়োজন করে দ্য আর্থ সোসাইটি, উই ক্যান কক্সবাজার, কোস্টাল লাইভলিহুড অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যাকশন নেটওয়ার্ক (CLEAN), বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (BWGED), এবং স্থানীয় বিভিন্ন তৃণমূল আন্দোলনের সমন্বয়ে গঠিত একটি জোট।

তাদের স্পষ্ট বার্তা হলো: এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে তারা সোচ্চার কারণ এই প্রকল্প তাদের স্বাস্থ্য, পরিবেশ এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎকে হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে।

 

ওরিয়ন গ্রুপকে গজারিয়া, মুন্সিগঞ্জে অনুমোদিত প্রকল্পটি মাতারবাড়িতে নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ছয় বছর ধরে আটকে থাকার পর বাংলাদেশ ব্যাংক নীতিগত ছাড় দেওয়ার ফলে রাষ্ট্রায়ত্ত তিনটি ব্যাংক; অগ্রণী, জনতা এবং রূপালী ব্যাংক সম্প্রতি ওরিয়নের এই প্রকল্পের জন্য ১০,৫৭৯ কোটি টাকার ঋণ মঞ্জুর করেছে।

 

কর্মসূচিতে বক্তৃতা দেন বিশিষ্ট পরিবেশবিদ, স্থানীয় তরুণ এবং প্রকল্প দ্বারা সরাসরি প্রভাবিত কমিউনিটির সদস্যরা। প্রতিবাদকারীরা বলেন, আমদানি করা কয়লা আমাদের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে, এবং মাতারবাড়ির উপকূলীয় অঞ্চলে প্রস্তাবিত এই বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থানীয় প্রতিবেশ, জনস্বাস্থ্য এবং দেশের কার্বন নির্গমন কমানোর প্রতিশ্রুতির জন্য হুমকি। তারা আরও উল্লেখ করেন, “সকল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করতে হবে এবং এই প্রকল্পগুলোতে বিনিয়োগও বাতিল করতে হবে।” তারা দাবি করেন, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোকে এই কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে অর্থায়ন বন্ধ করতে হবে।

 

প্রতিবাদকারীরা জোর দিয়ে বলেন, তারা উন্নয়নের বিপক্ষে নয়, তবে তারা দাবি করেন যে এই উন্নয়ন টেকসই এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মঙ্গলের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।

 

উই ক্যান কক্সবাজারের পরিচালক ওমর ফারুক বলেন,“বাংলাদেশ জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে, তবে এখানে একটি নতুন কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ আমাদের সেই অর্জন থেকে পেছনে ঠেলে দেবে।

আরো বলেন,আমরা লড়াই চালিয়ে যাব, ভবিষ্যতে আরও কর্মসূচি এবং আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে যাতে প্রকল্পটি বন্ধ করা যায়। সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে প্রস্তাবটি পুনর্বিবেচনা করতে এবং বাংলাদেশের পরিবেশগত লক্ষ্য এবং প্যারিস চুক্তির সাথে সামঞ্জস্য রেখে নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে অগ্রাধিকার দিতে। যদি দেশটি এই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়, তবে বৈশ্বিক মঞ্চে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধে দাবিতে মানববন্ধন 

আপডেট সময় : ০৪:৩৭:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

চট্টগ্রামে আজ একজোট হয়ে স্থানীয় বাসিন্দা, পরিবেশকর্মী এবং কমিউনিটির সদস্যরা মাতারবাড়ি, কক্সবাজারে নতুন কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র (ঢাকা ৬৩৫ মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র, OPDL-2) বাতিলের দাবিতে একটি প্রতিবাদ কর্মসূচীতে অংশ নেন। এ কর্মসূচির আয়োজন করে দ্য আর্থ সোসাইটি, উই ক্যান কক্সবাজার, কোস্টাল লাইভলিহুড অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যাকশন নেটওয়ার্ক (CLEAN), বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (BWGED), এবং স্থানীয় বিভিন্ন তৃণমূল আন্দোলনের সমন্বয়ে গঠিত একটি জোট।

তাদের স্পষ্ট বার্তা হলো: এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে তারা সোচ্চার কারণ এই প্রকল্প তাদের স্বাস্থ্য, পরিবেশ এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎকে হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে।

 

ওরিয়ন গ্রুপকে গজারিয়া, মুন্সিগঞ্জে অনুমোদিত প্রকল্পটি মাতারবাড়িতে নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ছয় বছর ধরে আটকে থাকার পর বাংলাদেশ ব্যাংক নীতিগত ছাড় দেওয়ার ফলে রাষ্ট্রায়ত্ত তিনটি ব্যাংক; অগ্রণী, জনতা এবং রূপালী ব্যাংক সম্প্রতি ওরিয়নের এই প্রকল্পের জন্য ১০,৫৭৯ কোটি টাকার ঋণ মঞ্জুর করেছে।

 

কর্মসূচিতে বক্তৃতা দেন বিশিষ্ট পরিবেশবিদ, স্থানীয় তরুণ এবং প্রকল্প দ্বারা সরাসরি প্রভাবিত কমিউনিটির সদস্যরা। প্রতিবাদকারীরা বলেন, আমদানি করা কয়লা আমাদের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে, এবং মাতারবাড়ির উপকূলীয় অঞ্চলে প্রস্তাবিত এই বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থানীয় প্রতিবেশ, জনস্বাস্থ্য এবং দেশের কার্বন নির্গমন কমানোর প্রতিশ্রুতির জন্য হুমকি। তারা আরও উল্লেখ করেন, “সকল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করতে হবে এবং এই প্রকল্পগুলোতে বিনিয়োগও বাতিল করতে হবে।” তারা দাবি করেন, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোকে এই কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে অর্থায়ন বন্ধ করতে হবে।

 

প্রতিবাদকারীরা জোর দিয়ে বলেন, তারা উন্নয়নের বিপক্ষে নয়, তবে তারা দাবি করেন যে এই উন্নয়ন টেকসই এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মঙ্গলের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।

 

উই ক্যান কক্সবাজারের পরিচালক ওমর ফারুক বলেন,“বাংলাদেশ জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে, তবে এখানে একটি নতুন কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ আমাদের সেই অর্জন থেকে পেছনে ঠেলে দেবে।

আরো বলেন,আমরা লড়াই চালিয়ে যাব, ভবিষ্যতে আরও কর্মসূচি এবং আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে যাতে প্রকল্পটি বন্ধ করা যায়। সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে প্রস্তাবটি পুনর্বিবেচনা করতে এবং বাংলাদেশের পরিবেশগত লক্ষ্য এবং প্যারিস চুক্তির সাথে সামঞ্জস্য রেখে নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে অগ্রাধিকার দিতে। যদি দেশটি এই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়, তবে বৈশ্বিক মঞ্চে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে।