ঢাকা ১০:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo বিজয়া দশমীতে বাংলাদেশ তথ্য ও মানবাধিকার ফাউন্ডেশন কর্তৃক সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য শুভেচ্ছা বার্তা Logo এবারের দুর্গাপূজায় প্রায় দ্বিগুণ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo আসল মাস্টারমাইন্ড জয় হলে আশ্চর্যের কিছুই থাকবে না’ Logo গ্লোরিয়াসের বার্ষিক ক্রিড়া পুরস্কার ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত Logo নবনির্বাচিত চাঁদগাও থানা শ্রমিক দলের ৫১সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন। Logo মাদক সরবরাহকালে ০৯ বোতল ফেন্সিডিল সহ ০১ জন গ্রেফতার। Logo আশার আলো মানবিক ফাউন্ডেশনের অনুষ্ঠান সম্পন্ন। Logo এলপি গ্যাসের দাম বৃদ্ধি নিয়ে যা বললেন উপদেষ্টা Logo নোয়াখালীতে বন্যয় ক্ষতিগ্রস্হদের পুনর্বাসনে এম.টি হক ফাউন্ডেশন নগদ অর্থ বিতরণ Logo চন্দনাইশে ডা. শাহাদাতকে মেয়র ঘোষণা করায় শোকরানা সভা ও খাবার বিতরণ

আ:লীগের ক্ষমতা অপব্যবহার করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ কে এই সিলেটি সেলিম?

বন্দরের টেন্ডার ডাকাতির শীর্ষে এবিএম ওয়াটার ট্রিটমেন্ট

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৩:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০০৬ বার পড়া হয়েছে

 

   ১ম পর্ব

রহস্যজনকভাবে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে আইনের তোয়াক্কা না করেই চট্টগ্রাম বন্দর কর্মকর্তাদের যোগসাজশে দেদারসে একতরফাভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে এবিএম ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

তথ্যসূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নিয়মানুসারে ১ বছর পর পর লবণাক্ত পানি বিশুদ্ধ করে বন্দর ও বন্দর সংযুক্ত এলাকায় পানি সাপ্লাইয়ের কাজের জন্য বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সরকারিভাবে টেন্ডারের মাধ্যমে ওয়ার্ক পারমিট প্রধান করা হয়।

কিন্তু একাধিক সূত্রে জানা যায়, বিগত আওয়ামী সরকারের সময় ১০ বছরেরও অধিক সময় ধরে এবিএম ওয়াটার ট্রিটমেন্ট নামের এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বন্দরের কিছু অসাধু কর্মকর্তা, কথিত চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ নেতা পরিচয় দানকারী আতিক, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনের বিশেষ ক্ষমতার ভয় দেখিয়ে প্রতি বছর এই এবিএম ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের মালিক আতাউল করিম সেলিম অন্য কোনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সুযোগ না দিয়ে একাই একতরফাভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-প্রধান প্রকৌশলী মেজবাহ উদ্দিন এর সাথে মুটোফোনে বাংলাদেশ সময়ের প্রতিনিধি যোগাযোগ করলে তিনি এবি এম ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট এর সাথে আর ও একটি প্রতিষ্ঠান সংযুক্ত ছিল এই প্রতিষ্ঠানের নাম গ্রীন ডট লিমিটেড এই দুই প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী আতাউল করিম সেলিম নিজেই। এই বিষয়ে মেজবাহউদ্দিন আরো স্বীকার করেন অফিসিয়াল সিস্টেমের বাইরেও আতাউল করিম সেলিমের সাথে উনার ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে তবে তিনি বলেন এটা উপরের মহল থেকে নির্দেশ হয়ে টেন্ডার পাশ হয়ে আসে উক্ত বিষয়ে কথা বলার কোন এখতিয়ার আমার নেই।

নিয়ম অনুসারে এক মালিকের একাধিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান একই দরপত্রের জন্য আবেদন করলে উক্ত প্রতিষ্ঠানের দরপত্রের আবেদন বাতিল হবে এবং ঠিকাদারি আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে।

কিন্তু কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে বন্দর কর্তৃপক্ষ ( বিদ্যুৎ বিভাগ)অন্যান্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দরপত্র থেকে বঞ্চিত করে অবৈধভাবে আতাউল করিম সেলিমের প্রতিষ্ঠান এবিএম ওয়াটার টিটমেন্ট প্লান্ট ও গ্রীন ডট লিমিটেড কে ঠিকাদারি কাজে সর্বোচ্চ সহায়তা করে যাচ্ছে যা বন্দরের ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট এর সর্বোচ্চ দুর্নীতি বলা যেতে পারে।

সূত্রে আরো জানা যায়, প্রতি বছরই আনুষ্ঠানিকভাবে টেন্ডার জমা দেওয়ার সময় দ্বায়িত্বে থাকা বন্দর সিকিউরিটি নীরব ভূমিকা পালন করে। তখন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রভাব খাটিয়ে কথিত মহানগর যুবলীগ নেতা আতিকের নের্তৃত্বে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গুলোকে টেন্ডার জমা দিতে বাধা প্রদান করে।

এবিএম ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে উক্ত প্রতিষ্ঠানের সিও আক্তারুজ্জামান মঠুফোনে বাংলাদেশ সময়ের প্রতিবেদককে বিভিন্নভাবে তথ্য দিতে অনিহা প্রকাশ করেন।

এবিএম ওয়াটার ট্রিটমেন্ট এর মালিক পক্ষ আতাউল করিম সেলিমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বাংলাদেশ সময় কে বলেন তিনি সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনের এলাকার লোক, বন্দরে টানা ঠেন্ডার রাজত্বে ১০ বছর এ এবিএম ওয়াটার ট্রিটমেন্ট একক ভাবে নিয়ন্ত্রন প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন এ বিষয় তিনি কিছু জানেন না সরাসরি বন্দর কৃর্তপক্ষ জানে,

সূত্রে জানা যায় তিনি সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের একজন অর্থদাতা ও দেশের সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানে আওয়ামী লীগের বড় বড় মন্ত্রীদের প্রভাব খাটিয়ে এবং আইনে না থাকা সত্ত্বেও প্রশাসনের  বিভিন্ন কর্মকর্তাদের ছবি নিজের ফেসবুক আইডিতে দিয়ে টেন্ডারবাজী করে যাচ্ছে রীতিমতো।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

আ:লীগের ক্ষমতা অপব্যবহার করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ কে এই সিলেটি সেলিম?

বন্দরের টেন্ডার ডাকাতির শীর্ষে এবিএম ওয়াটার ট্রিটমেন্ট

আপডেট সময় : ০৬:৩৩:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

   ১ম পর্ব

রহস্যজনকভাবে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে আইনের তোয়াক্কা না করেই চট্টগ্রাম বন্দর কর্মকর্তাদের যোগসাজশে দেদারসে একতরফাভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে এবিএম ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

তথ্যসূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নিয়মানুসারে ১ বছর পর পর লবণাক্ত পানি বিশুদ্ধ করে বন্দর ও বন্দর সংযুক্ত এলাকায় পানি সাপ্লাইয়ের কাজের জন্য বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সরকারিভাবে টেন্ডারের মাধ্যমে ওয়ার্ক পারমিট প্রধান করা হয়।

কিন্তু একাধিক সূত্রে জানা যায়, বিগত আওয়ামী সরকারের সময় ১০ বছরেরও অধিক সময় ধরে এবিএম ওয়াটার ট্রিটমেন্ট নামের এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বন্দরের কিছু অসাধু কর্মকর্তা, কথিত চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ নেতা পরিচয় দানকারী আতিক, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনের বিশেষ ক্ষমতার ভয় দেখিয়ে প্রতি বছর এই এবিএম ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের মালিক আতাউল করিম সেলিম অন্য কোনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সুযোগ না দিয়ে একাই একতরফাভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-প্রধান প্রকৌশলী মেজবাহ উদ্দিন এর সাথে মুটোফোনে বাংলাদেশ সময়ের প্রতিনিধি যোগাযোগ করলে তিনি এবি এম ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট এর সাথে আর ও একটি প্রতিষ্ঠান সংযুক্ত ছিল এই প্রতিষ্ঠানের নাম গ্রীন ডট লিমিটেড এই দুই প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী আতাউল করিম সেলিম নিজেই। এই বিষয়ে মেজবাহউদ্দিন আরো স্বীকার করেন অফিসিয়াল সিস্টেমের বাইরেও আতাউল করিম সেলিমের সাথে উনার ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে তবে তিনি বলেন এটা উপরের মহল থেকে নির্দেশ হয়ে টেন্ডার পাশ হয়ে আসে উক্ত বিষয়ে কথা বলার কোন এখতিয়ার আমার নেই।

নিয়ম অনুসারে এক মালিকের একাধিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান একই দরপত্রের জন্য আবেদন করলে উক্ত প্রতিষ্ঠানের দরপত্রের আবেদন বাতিল হবে এবং ঠিকাদারি আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে।

কিন্তু কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে বন্দর কর্তৃপক্ষ ( বিদ্যুৎ বিভাগ)অন্যান্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দরপত্র থেকে বঞ্চিত করে অবৈধভাবে আতাউল করিম সেলিমের প্রতিষ্ঠান এবিএম ওয়াটার টিটমেন্ট প্লান্ট ও গ্রীন ডট লিমিটেড কে ঠিকাদারি কাজে সর্বোচ্চ সহায়তা করে যাচ্ছে যা বন্দরের ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট এর সর্বোচ্চ দুর্নীতি বলা যেতে পারে।

সূত্রে আরো জানা যায়, প্রতি বছরই আনুষ্ঠানিকভাবে টেন্ডার জমা দেওয়ার সময় দ্বায়িত্বে থাকা বন্দর সিকিউরিটি নীরব ভূমিকা পালন করে। তখন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রভাব খাটিয়ে কথিত মহানগর যুবলীগ নেতা আতিকের নের্তৃত্বে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গুলোকে টেন্ডার জমা দিতে বাধা প্রদান করে।

এবিএম ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে উক্ত প্রতিষ্ঠানের সিও আক্তারুজ্জামান মঠুফোনে বাংলাদেশ সময়ের প্রতিবেদককে বিভিন্নভাবে তথ্য দিতে অনিহা প্রকাশ করেন।

এবিএম ওয়াটার ট্রিটমেন্ট এর মালিক পক্ষ আতাউল করিম সেলিমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বাংলাদেশ সময় কে বলেন তিনি সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনের এলাকার লোক, বন্দরে টানা ঠেন্ডার রাজত্বে ১০ বছর এ এবিএম ওয়াটার ট্রিটমেন্ট একক ভাবে নিয়ন্ত্রন প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন এ বিষয় তিনি কিছু জানেন না সরাসরি বন্দর কৃর্তপক্ষ জানে,

সূত্রে জানা যায় তিনি সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের একজন অর্থদাতা ও দেশের সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানে আওয়ামী লীগের বড় বড় মন্ত্রীদের প্রভাব খাটিয়ে এবং আইনে না থাকা সত্ত্বেও প্রশাসনের  বিভিন্ন কর্মকর্তাদের ছবি নিজের ফেসবুক আইডিতে দিয়ে টেন্ডারবাজী করে যাচ্ছে রীতিমতো।