সর্বশেষ :
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শেখেরগাঁও ঐতিহ্যবাহী ষাঁড়ের লড়াই
নিজস্ব প্রতিবেদক: মোঃ জালাল উদ্দিন।
- আপডেট সময় : ০৬:৫৫:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ১১৩ বার পড়া হয়েছে
১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেখেরগাঁও গ্রামে অনুষ্ঠিত হয় গেল গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী ষাঁড়ের লড়াই। শনিবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ইং, বিকেলে শেখেরগাঁও গ্রামের মাঠে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
পুরো মাঠজুড়ে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী ষাঁড়ের লড়াই দেখতে হাজারো মানুষের উৎসবমুখর উপস্থিতি ছিল৷ মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেখেরগাঁও গ্রামে কয়েক বছর ধরে এমন আয়োজন হয়ে আসছে।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া প্রতিটি ষাঁড়ের নামে ছিল আকর্ষণ, যেমন- কাটা তার, রেইসার, সরকি তালুকদার, দেশ পাগলা, সোনার ময়না, পাগলা ভাই, লাল চাঁন ইত্যাদি। এমন বৈচিত্র্যময় নামের ষাঁড়গুলো নিয়ে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রতিযোগিতায় আসেন মালিকরা।
প্রতিযোগিতার আয়োজকরা জানান, হারিয়ে যেতে বসা গ্রাম বাংলার এই ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি ফিরে আনার লক্ষ্যে এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছে। যা দেখতে সমবেত হন মৌলভীবাজারের বিভিন্ন এলাকার মানুষজন। ষাঁড়ের লড়াইয়ে এসে নানা বয়সী হাজারো মানুষ উৎসবে মেতে ওঠেন। বসে বিভিন্ন দোকানপাট।
শ্রীমঙ্গল শহর থেকে ষাঁড়ের লড়াই দেখতে আসা মোঃ ইমু মিয়া বলেন, প্রতিবছর এখানে বড়বড় ষাঁড়ের লড়াই হয়। এমন লড়াই দেখতে প্রতিবারই সুযোগ করে চলে আসি।
রাজনগর মুন্সিবাজার থেকে আসা সৈয়দ মোঃ জুয়েল আলী বলেন, শৈশবে দেখেছি শীত এলেই গ্রামে গ্রামে ষাঁড়ের লড়াই হতো। এখন আর তেমন দেখা যায় না৷ শহরের পাশেই ষাঁড়ের লড়াই হচ্ছে জেনে চলে আসলাম৷ আগামী বছরেও আসব।
ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা সালে এলাহী কুটি জানান, শেখেরগাও ষাঁড়ের লড়াই প্রতিযোগিতাকে ঘিরে ওই দিন স্থানীয়রা উৎসবে মেতে ওঠেন৷ এমন আয়োজনে আমরা সবাই সহযোগিতা করে থাকি।
এখনকার সময়ে এমন একটি ব্যতিক্রমী আয়োজন সম্পর্কে আয়োজক সদস্য তুহিন আহমদ বলেন, মৌলভীবাজারের কুলাউড়া, বড়লেখা, সদরসহ সিলেটের বিয়ানীবাজার, ফেঞ্চুগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলা থেকেও ষাঁড় নিয়ে এসেছেন মালিকরা৷ এছাড়া ষাঁড়ের লড়াই প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে এখানে বিভিন্ন দোকানপাট বসে। এতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও লাভবান হয়ে থাকেন।
জানা যায়, এবারের প্রতিযোগিতায় সিলেট বিভাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৪০টি ষাঁড় অংশ নেয়। পরে মৌলভীবাজার পৌরসভার কাউন্সিলর মোঃ মাসুদ আহমদ বিজয়ী ষাঁড়ের মালিকদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।