বাকেরগঞ্জে আশ্রয়ন কেন্দ্রে স্বামী পরিত্যক্তার উপর মেম্বারের হামলা ও মারধর
- আপডেট সময় : ১১:৫৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩ ২৮৪ বার পড়া হয়েছে
বাকেরগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি- বরিশালের বাকেরগঞ্জের দাওকাঠী আশ্রয়ন কেন্দ্রে স্বামী পরিত্যাক্তার উপর ইউপি সদস্য গোলাম মোস্তফা হামলা ও মারধর করেছে। এ ঘটনায় আহত মোসাঃ জান্নাতুল ফেরদৌসী বাকেরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বুধবার দুপুর ২ টা ৩০ মিনিটের সময় উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের দাওকাঠী আশ্রয়ন কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দাওকাঠী গ্রামের মোঃ আবুয়াল হোসেনের স্বামী পরিত্যাক্তা কন্যা ভূমিহীন মোসাঃ জান্নাতুল ফেরদৌসী সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পে আবেদন করে দাওকাঠী আশ্রায়ন কেন্দ্রে একটি ঘর বরাদ্দ পায়। তিনি তার ৪বছরের একমাত্র শিশু পুত্রকে নিয়ে ওই ঘরে বসবাস করেন। গত কয়েকদিন আগে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আশ্রায়ন প্রকল্পের বাসিন্দাদের কৃষি জমিতে চাষাবাদের উপর ট্রেনিং দিয়ে তাদের মাঝে বিভিন্ন ফলজ গাছ বিতরণ করে। তিনি ওই গাছগুলো তার ঘরের সামনে লাগালে বুধবার দুপুরে ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য গোলাম মোস্তফা গিয়ে তাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেন।
এতে তিনি প্রতিবাদ জানালে তাকে লাঠি দিয়ে পেটানো হয়। কান্না জড়িত কন্ঠে স্বামী পরিত্যাক্তা জান্নাতুল ফেরদৌসী জানান, এ ঘটনায় তিনি ওইদিন রাতেই বাকেরগঞ্জ থানায় ইউপি সদস্য গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। থানায় অভিযোগ দেয়ায় মেম্বার মোস্তফা ক্ষুব্ধ হয়ে বুধবার গভীর রাতে তার অন্ধ মায়ের বাড়িতে গিয়ে অভিযোগ তুলে নিতে তার উপর চাপ প্রয়োগ করে, অন্যথায় তাকেসহ তাদের পরিবারকে খুনজখম করবে বলে হুমকি দেয়। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য গোলাম মোস্তফা স্বামী পরিত্যক্তার উপর হামলা ও মারধরের বিষয় অস্বীকার করে তিনি জানান, জান্নাতুল ফেরদৌসীর সাথে তার তর্কাতর্কি হয়েছে, কোন মারামারি হয়নি।
থানা অফিসার ইনচার্জ এস এম মাকসুদুর রহমান অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এস আই রিয়াজ সরেজমিনে ঘটনা তদন্ত করেছে। অপরাধী যেই হোক তাকে ছাড় দেয়া হবে না। তদন্তে ঘটনার সত্যতার উপর নির্ভর করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল চন্দ্র শীল বলেন, দাওকাঠী আশ্রয়ন প্রকল্প মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি অগ্রাধিকার প্রকল্প। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট এলাকায় খালি জায়গা থাকলে ভূমিহীনরা সেখানে চাষাবাদ করবে এটাই স্বাভাবিক। সেখানে গিয়ে কোন জনপ্রতিনিধি আশ্রিতাদের উপর হামলা কিংবা মারধর করবে এটা কোনভাবেই কাম্য নয়। এ বিষয়ে তিনি একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। থানা অফিসার ইনসার্জকে তদন্ত সাপেক্ষে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয়া